নিজস্ব প্রতিবেদক: “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এখন পর্যন্ত সন্ত্রাস বা মাদক নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি বরং রাষ্ট্রকে বিপদাপন্ন করেছে” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ওয়ার্কার্স পার্টির ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনা স্মরণে প্রতিবছরের এই দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি।
পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহার মত্যুর ঘটনা তুলে ধরে মেনন বলেন, মেজর সিনহার মৃত্যু রাষ্ট্রের দুটি বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। দুই বাহিনীর প্রধানকে নজিরবিহীন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে আশ্বস্ত করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে দেড়শ’র ওপর মানুষকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার পরও গত সপ্তাহেই সেখান থেকে কয়েক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কারণে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী এই অমানবিক আচরণ এখনই বন্ধ করতে হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আটাশ বছর অতিবাহিত হলেও রাশেদ খান মেননকে হত্যা প্রচেষ্টার বিচার না হওয়ায় এ দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রচলিত রয়েছে তারই একটি দৃষ্টান্ত। খালেদা জিয়ার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ‘অপরাশেন ক্লিনহার্ট’ হত্যাকে আইন করে দায়মুক্তি দিয়েছিলেন, এখন তারই অনুসরণে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে অঘোষিত দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
ফজলে হোসেন বাদশা বিচার বহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডকে বিচারের আওতায় এনে দেশে আইনের শাসনকে দৃশ্যমান করার আহ্বান জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহম্মদ বকুলের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস প্রমুখ।