ডি কে সৈকত: কোভিড ১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে পৃথিবী আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন। পৃথিবীও আজ ফিরতে চায় তার স্বাভাবিক গতিতে, মানুষ মুক্তি চায় এই অভিশাপ থেকে, নতুন করে আশার আলো দেখতে চায় মানুষের কল্যাণে। তাই সকলের প্রার্থনা একটাই, কোভিড-১৯ এর একটি প্রতিষেধক, অন্তত একটি টিকা, একটি ওষুধ। যাতে করে মানুষের এই অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হয়। সমগ্র বিশ্ব তাই প্রতীক্ষায় বিজ্ঞানীদের উপর। গত দুদিন ধরে সেরকম আশার আভাস দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। গত ১৯ জুন শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মহামারী রোগ বিশারদ অ্যান্হনী ফাউচি প্রত্যাশা করেন, বিশ্ব খুব দ্রুত নতুন কোভিড-১৯ দুটি বা অন্তত একটি কার্যকর টিকা পেতে যাচ্ছে। অপরদিকে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশা প্রকাশ করেন, ২০২০ সালের শেষের দিকে কোভিড-১৯ এর কয়েক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব। অন্যদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে মহামারী রোগ বিশারদ অ্যান্হনি ফাউচি বলেন, ‘সম্ভাব্য টিকাটি মহামারীর অবসান ঘটাবে। প্রাথমিকভাবে টিকার পরীক্ষা সফল ও উৎসাহব্যঞ্জক। অ্যান্হনি ফাউচি আরো বলেন, কোভিড-১৯ টিকা আর এইচআইভি টিকা তুলনা করা যাবে না। কোভিড-১৯ টিকার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, কারণ এ ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন, তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসটিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় প্রকৃতি আপনার কাছে প্রমাণ হাজির করেছে যে- এটি দূর করা সম্ভব। এছাড়া ১৮ জুন বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা সৌম স্বামীন্যথান বলেন, বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবনে দুশরও বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে দশটি মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ভাগ্য প্রসণ্ন হলে এ বছরের মধ্যে এক থেকে দুটি সফল টিকা পেয়ে যাবো। তিনি আরোও জানান, ২০২১ সালের শেষের দিকে দুশ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা তৈরি করা যাবে।’ বিজ্ঞানীদের সাথে সারা বিশ্বের মানুষ কোভিড-১৯ টিকার সফলতা প্রত্যাশা করেন।