তাহমিনা বেগম
যে চোখে শুধুই ধূসরতা
হাহাকার আর আর্তিতে
হৃদয় ভরা
চৈত্রের খরতাপে ভেতরে
ক্ষরণ হতো
ধূ ধূ বালুচর আর পাষাণী
মেঘ কতো
অনুনয় একটু তৃষ্ণা মেটাতে
চেয়ে দাওনি তো একফোঁটা জল
বুক ফেটে চৌচির।
ক্লান্ত হতে হতে নুয়ে পড়েছি
হাত ধরে দাঁড়াবার,
বাঁচার আকুলতা গলেনি
পাথর মন হিমালয়ের চোখ ভিজেছে
গলে গলে পড়েছে পাষাণের কর্মকাণ্ডে
সূর্যের তাপে পুড়িয়েছ ভেজাওনি এতটুকু।
জীবন সমুদ্রে যখন কূলহীন
এক আবক্ষ হিমাচলের
মতো উদয় হলে
ভাসিয়ে নিয়ে স্থান দিলে বুকের গহীণে
পেলব পরশে জীবন ভরে
গেল কানায় কানায়
যে জীবন তুচ্ছ ছিল
ক্ষুদ্র পিঁপড়ার মতো
আজ তা পরিপূর্ণ,পরিতৃপ্ত।
দৃপ্তভংগীতে দাঁড়িয়েছে
আর নেই শঙ্কা
বেজেছে বিজয় ডঙ্কা
মিহি সানাইয়ের সুরের
ইন্দ্রজালে মুগ্ধতা
তুমি বটবৃক্ষ
শীতল করেছ তুমি এ
হৃদয়ের ভূমি।।