কবি আজহারুল কবির নিলয়
টেনেছিলেন দাঁড়
দেখিয়েছিলেন পথ
বেঁধেছিলেন শত আশার বাসা,
তাঁর বুকের ছোট্ট কুঁড়েঘরে।
দেখিয়েছিলেন সাহস
শিখিয়েছিলেন টিকে থাকা
শত প্রতিক‚লতাকে আলিঙ্গন করে।
হাতে তুলে নিয়েছিলেন বৈঠা
দেখিয়েছিলেন স্বপ্ন,
বিশাল পদ্মা মেঘনা পাড়ি দেওয়ার।
হাল ছাড়েননিকো তিনি
সাত কোটি যাত্রী নিয়ে তরীতে,
কোনো কাল-বৈশাখী ঝড় ৫২, ৬২, ৬৯ এ।
সাহস করে হাতে তুলেছিলেন বৈঠা
চালিয়ে নিয়ে যেতে ভালোবাসার তরীকে
প্রচণ্ড কাল বৈশাখী ঝড়ের মধ্য দিয়ে।
হার মানেননিকো তিনি
কোনো কাল-বৈশাখী ঝড়
৫২,৬৬ কিংবা ৭১ এ।
যদিও হারিয়েছিলেন অনেক বীর সৈনিক
নানান ঝড়-বাদলে।
৫২ তে দিয়েছিলো তাজা তাজা প্রাণ
সালাম, বরকত, রফিক
পদ্মার উত্তাল ঢেউতে,
বাংলাদেশ নামক ভালোবাসার ছোট্ট তরীর
গতিপথ ঠিক রাখতে।
অঝরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন প্রিয় বঙ্গবন্ধু
এতো এতো রত্নকে হারিয়ে।
তবুও সাত কোটি বাঙালির কথা চিন্তা করে
বৈঠা হাতে দাঁড় টেনেছিলেন
রোদে ঘামে আর বৃষ্টিতে।
পাড়ি জমিয়েছিলেন ঠিকই, বিশাল সে নদী
শত কাল বৈশাখী ঝড় আর
বিশাল বিশাল ঢেউকে মোকাবিলা করে।।
তবে ৭১ এ ভয়াল এক
কাল বৈশাখী ঝড়ে হারিয়েছিলো
৩০ লক্ষ বীর সন্তান।
পড়ে গিয়েছিলেন তিনি নিজেও
নদীর উত্তাল ঢেউতে।
তবুও ছাড়েননিকো তিনি নৌকার পাল
হাজারও বাধা বিপত্তিতে।
শত সংগ্রাম আর কষ্ট করে
উঠে এসেছিলেন ভালোবাসার তরীতে।
সাত কোটি যাত্রীকে
নদীর ওপারের সুপ্ত সুন্দর সৌন্দর্য আর
বিজয়ের রক্তিম সূর্য দেখাতে।
এতো সংগ্রাম এতো বঞ্চনা সহ্য করেছিলেন
বীর সেই পুরুষ, শুধু
নদীর ওপারের সৌন্দর্যটুকু পেতে
সাত কোটি যাত্রী নিয়ে।
সবাই মিলে এক সাথে
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবে বলে।
স্বাধীনতা নামক এক অপরিসীম
বিমূর্ত নেশার স্বাদ নিতে।
নিজের মায়ের ভাষায়
সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ
প্রিয় মা-কে, মা বলে চিৎকার করে
ডাকবে বলে।
Super