বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী বিজয়ী । মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। উপনির্বাচনের দুটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি ভাবে দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে শাহীন চাকলাদার এক লাখ ২৪ হাজার তিন ভোট এবং বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে সাহাদারা মান্নান এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় এই দুই আসনে ভোটগ্রহণ। স্বাস্থ্য বিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
যশোর-৬ আসন (কেশবপুর) উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশীদ। ঘোষিত ফলাফলে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন চাকলাদার মোট এক লাখ ২৪ হাজার তিন ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ১২ ভোট। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করায় মাঠে ছিলেন না আবুল হোসেন আজাদ। অপর প্রার্থী জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৬৭৮।
বজলুর রশীদ জানান, কেশবপুর আসনে মোট দুই লাখ তিন হাজার ১৮ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর ভোট বাতিল হয়েছে এক হাজার ৩৭৪টি।
এদিকে বগুড়া-১ আসন উপনির্বাচনের বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতিকের সাহাদারা মান্নান। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪৭ ভোট।
নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভোটের এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যান চলাচলের ওপরও আরোপ করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ইতোমধ্যে নির্বাচন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ভোটের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় কমিশনের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান করে ইতোমধ্যে ভোট বর্জন করছে বিএনপি। তবে বিএনপির প্রার্থীদ্বয়ের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় এবং তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন বর্জন করায় ব্যালট পেপারে তাদের নাম ও প্রতীক রাখা হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ভোটগ্রহণ করায় মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক না পরলে কাউকেই ভোট দিতে দেবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।