ফোন করে মিন্নির কান্নাকাটি

0
818

নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রায়ের পর মিন্নিসহ ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে বরগুনা কারাগার থেকে মিন্নি তার বাবার সঙ্গে কথা বলে কান্নাকাটি করেছে বলে জানা গেছে। মিন্নিকে কারাগারের একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা। সেই কক্ষ থেকেই ফোন করেছেন মিন্নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলসুপার বলেন, এ মুহূর্তে বরগুনার কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে রয়েছে। সকাল ৯টায় তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছে মিন্নি। মিন্নি যখন কথা বলেছে, তখন ফোনের কাছে আমাদের একজন ডিউটি করেন। তিনি বলেছেন, মিন্নি কোনো কান্নাকাটি করেনি। সকাল ১০টার সময় অন্য পাঁচজন ফাঁসির আসামিও ফোনে কথা বলেছে।

তিনি বলেন, মিন্নি ছাড়া বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে এখন অন্য কোনো নারীবন্দি নেই। এ ছাড়া রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচজন দণ্ডপ্রাপ্ত পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচজন ছাড়া বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো বন্দিও নেই।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, বুধবার মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তাদের বরগুনা কারাগারে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের কনডেম সেলে রাখা হয়।

তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে মিন্নি আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। তাকে একা একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়েছে।

মিন্নির বাবা দাবি করেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। একটি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে তার মেয়েকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়ার আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আমি আশাবাদী, আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এ মামলায় চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here