নিজস্ব সংবাদদাতা: চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা বার হাতিয়া-ঠেটালিয়া মায়া বীরবিক্রম গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ কাজে আরিফা তুষার জে, বি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে রাস্তার পুনঃ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরাতন ইট তুলে ফের সেই ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় ৭০ হাজার ইট জব্দ করেছেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
শুধু তাই নয় রাস্তা থেকে সেই পুরনো ইট তুলে বাইরে বিক্রয় প্রস্তুতিকালে হাতেনাতে ধরা পড়েন এলজিইডির কথিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে বি । এই ঘটনায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় এইচ বি বি রাস্তার ইট তুলে এলজিইডির কাজে লাগাচ্ছিলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রিপন পাটোয়ারী আর এই অনিয়ম ধরে ফেলেন স্বয়ং ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বলেন রাস্তা থেকে উত্তোলনকৃত ইট গুলো অন্যত্র নেওয়ার সময় জব্দ করে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭, নভেম্বর স্থানীয় জনতার অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রায় ৭০ হাজার ইট জব্দ করেন । ঐ সময়ে ঠিকাদারের লোকজন সুযোগ বুঝে সেখান থেকে সটকে পড়েন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ঠিকাদারের পক্ষে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইট চুরির অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । ২৪, নভেম্বর এহেন মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতা ১০ নং পুর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি প্রতিবাদ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে সেখানে একটি প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করা হয়। স্থানীয় জনতার মধ্যে হাজী শুকুর আলী, হুমায়ুন কবীর, ডাক্তার জাফর, আবুল কাশেম বেপারী, আলী হোসেন সরকার, চানমিয়া, বজলুর রহমান,আব্দুল আজিজ সহ অনেক বক্তারা অভিযোগ করেন যে ঠিকাদারের অনিয়ম ধরে ফেলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিজয় প্রতিদিন এর সাথে কথা হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হক বলেন- আমি যদি উল্লিখিত ইট চুরি করবো তাহলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমার কাছে সেইগুলো কেন জিম্মায় রাখবেন ? তিনি এও বলেন এরকম হীন অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে খুব শীগ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে । তিনি আরো বলেন- সত্য কখনো চাপা চাপা থাকেনা খুব শীঘ্রই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আইনি যথাযথ পদক্ষেপ ও তদন্তের মাধ্যমে সঠিক সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
উল্লেখিত ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীস দাস বলেন- ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ইটগুলো আটক করে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে । তবে এই ব্যপারে অধিকতর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।