বাংলাদেশে শিক্ষায় বৈষম্যের স্বরূপ

প্রবন্ধ

0
780

গোলাম কিবরিয়া

সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলছে।তাদের প্রতিটি সংগঠন শিক্ষায় বিদ্যমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং একটা পর্যায়ে এসে সরকার তাদের দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে।পরবর্তী ফলাফল কী হবে তা আমরা জানিনে কিন্তু শিক্ষকদের দাবীর স্বপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি আছে।

শিক্ষক সংগঠনের চলমান আন্দোলন :  মাত্র কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করেছিল।তাদের অভিযোগ ছিল বিদ্যমান    বৈষম্য নিয়ে ;যেখানে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলের অবস্থান প্রধান শিক্ষকদের চার ধাপ নিচে।এটা নিরসনের দাবীতে তারা অনশন শুরু করে।অত:পর এম পি ও হীন শিক্ষকগণ অনশন শুরু করে।  সরকার তাদের দাবী  মেনে নেওয়ায় অনশনের ইতি ঘটে। এখন অনশনে নেমেছে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন ;তাদের দাবী হচ্ছে :মাধ্যমিক শিক্ষাকে সরকারিকরণ করে পরিপূর্ণভাবে বৈষম্য দূরীকরণে পদক্ষেপ  নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা।এসব বিছিন্ন ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থায় অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলাকে স্পষ্ট করে দেয়। এ সকল অবস্থা সমস্যাক্রান্ত চাকুরীজীবীদের প্রতিক্রিয়া মাত্র;কিন্তু এটা শিক্ষায় বিদ্যমান সকল প্রকার বৈষম্যকে উপস্থাপন করে না।বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল বৈষম্য দৃশ্যমান হয়;সেগুলো দু’টো পর্যায়ে দেখা যায়।

বৈষম্য   বিদ্যালয় পর্যায়ে এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে দেখা যায়।প্রথমে আমরা প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈষম্যগুলো চিহ্নিত করি।এগুলো হল:

 ১.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ:বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা হিসেবে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে।এ স্তরে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল,নূরানি মাদ্রাসা,ক্যাডেট মাদ্রাসা ইত্যাদি বিবিধ নামের এবং ধরনের বিদ্যালয়।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকার কর্তৃক পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রিত;শিক্ষার্থীদের বই-পুস্তক, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সকল কিছু সরকার দেখবাল করে।এখানে শিক্ষার্থীদের বেতন নেই;বরং পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করে।ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসমূহের মধ্যে অধিকাংশই এম.পি.ও ভুক্ত;অর্থাৎ এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরকারি বিধি অনুযায়ী সরকারি অর্থ প্রদান করে।এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতই সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।তবে উন্নয়নকাজ,  ট্রেনিং এবং বেতনের স্কেলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এসকল প্রতিষ্ঠানের বৈষম্য রয়েছে।অনেক ইবতাদায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নেয়া হয়।অন্যদিকে,কিন্ডারগার্টেন, নূরানি মাদ্রাসা এবং ক্যাডেট মাদ্রাসাসমূহে (যেগুলোর মানে ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে) শিক্ষার্থীদের থেকে প্রচুর পরিমানে অর্থ নেয়া হয়।অধিকাংশ উপজেলা সদরের কেন্দ্রে অবস্থিত কেজি স্কুলের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা,গ্রামীণ পর্যায়ে এটা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা,নূরানি মাদ্রাসায় বেতন ২০০০টাকা পর্যন্ত। কিন্তু কিন্ডারগার্টেন এবং নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনপ্রকার বাধ্যবাধকতা নেই এবং শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রেও কোন প্রকার মানদণ্ড নেই।এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত থাকে।এদের অধিকাংশ টিউশনি করে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূর্ণ করার চেষ্টা  করেন।অন্যদিকে,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বিধি অনুযায়ী সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

তাহলে আমরা দেখলাম:একই শিক্ষাস্তরে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার যেমন হেরফের রয়েছে তেমনি রয়েছে বেতনও বৈষম্য। এর ফলে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা; এতে শিক্ষার্থীর শিক্ষার গুণগত মানের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে এবং মানসিক বিকাশও প্রত্যাশিত মাত্রায় অর্জিত হচ্ছেনা।অথচ এরা প্রাথমিক স্তরের কয়েক লক্ষ (প্রায় এক কোটির কাছাকাছি)  শিক্ষার্থীর পঠনপাঠনে যুক্ত আছেন।

মাধ্যমিক স্তরে বৈষম্যের বিভিন্নতা: 

মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে  বৈষম্য আরো ব্যাপক। দেশের প্রায় অর্ধকোটি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মাত্র পাঁচ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে।বাদবাকিরা বেসরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে।সরকারি বিদ্যালয়সমূহ শহরাঞ্চলে অবস্থিত। ফলে অধিকতর স্বচ্ছল এবং শিক্ষিত সম্প্রদায় এর সুফল ভোগ করছে।সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধার উত্তম অংশ  থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সরকারি উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।আমরা দেখেছি উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নয়।আবার,অনেক যোগ্য শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।অভিভাবকদের অনেকে এজন্য শিক্ষকদেরকে অভিযুক্ত করেন।অনেক পরিবারে দু’য়ের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ;তারাও উপবৃত্তির আওতায় আসেনি।উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সরকার টিউশন ফি দেয়;এটি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত টিউশন ফি-এর অর্ধেকের চাইতেও কম।ফলে বিদ্যালয়ের আয় হ্রাস পাচ্ছে;যা বিদ্যালয় পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সরকারি বিদ্যালয়সমূহে ছাত্রছাত্রীদের বেতন গতবছর পর্যন্তও ২০টাকার কম ছিল।অন্যদিকে বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এটি ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ পর্যন্ত হয় এবং প্রাইভেট বিদ্যালয়ে এটি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।অতএব সন্তানদের পড়ালেখা শেখাতে গিয়ে অভিভাবকেরা রীতিমত হিমসীম খাচ্ছে।যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অধিক বেতন দিয়ে পড়ালেখা করছে সে সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকদের  বেতন ভাতা একেবারেই কম।

বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রায় একই।কিন্তু সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির দিক দিয়ের বৈষম্য ব্যাপক। যদিও এরা একই শিক্ষাস্তরের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করেন।বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ নেই বললেই চলে;অন্যদিকে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও উচ্চ যোগ্যতার অধিকারী হলেও দীর্ঘসময় ধরে একই পদে কর্মরত থাকতে বাধ্য হন।অনেকে সহকারী শিক্ষক থাকা অবস্থায় অবসরে গমন করেন-যা একজন দেশ নির্মাতার জন্য অপমানকর। যদিও সরকারি অন্যান্য চাকুরীতে যথাযথভাবে পদোন্নতির প্রক্রিয়া গতিশীল রয়েছে।এটাও শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈষম্যের প্রমাণ। 

২.সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণ :

শিক্ষাপ্রশাসনে কর্মরত কর্মকতা- কর্মচারীদের অদক্ষতা এবং অসহযোগিতাও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টির অন্যতম কারণ।তাদের কারণে শিক্ষকদের এম পি ও,  ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতি, টাইমস্কেলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং তারা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।অনেক শিক্ষক আছেন যারা দুই থেকে দশ বছর পর্যন্ত শিক্ষকতায় যুক্ত থেকেও এম পি ও ভুক্ত হননি। শিক্ষকদের অনেকে এটাকে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ বলে মনে করেন।

৩.গবেষণা খাতে অপ্রতুল বরাদ্ধ:

বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারি সহায়তা একেবারেই নগণ্য। দু’বছর পূর্বে বাংলাদেশে  পুরো শিক্ষাখাতে গবেষণার জন্য যা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল, তা ভারতের আসাম রাজ্যের মাত্র একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতেও কম।তাহলে বাংলাদেশে শিক্ষায় বৈষম্যের ভয়াবহতা কেমন তা সহজেই অনুমান করা যায়।

৪.মেধাবীদের প্রতি অবহেলা:মেধাবীদের একধরণের পাগলামি থাকে,  থাকে অহংকার ;তাদের অধিকাংশই বিক্রিযোগ্য হয়না।বিশেষকরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বা গবেষণা করতে আগ্রহী সিংহভাগ বুদ্ধিজীবী যেকোন রাজনৈতিক দলের অন্ধ আনুগত্য করতে অনাগ্রহী। অথচ রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক এবং গবেষক নিয়োগের বাজারে এদের অনেক পাত্তা পাবেন না।এটাও শিক্ষা ব্যবস্থাকে চরমভাবে সংকুচিত করছে;সাথে সাথে বৈষম্য  সৃষ্টি করছে  ।   

৫.একীভূত শিক্ষা প্রসঙ্গ:শিক্ষা উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক ঋণে প্রবাহের সদ্ব্যবহারের জন্য দেশব্যাপী সকল শিক্ষাস্তরের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের একদশকেরও অধিককাল ধরে  প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।এ ক্ষেত্রে একীভূত শিক্ষা শিরোনামে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনায় আনা হতো;এটি হল: একীভূত শিক্ষা;যার ভাবার্থ হচ্ছে শ্রেণিতে বা বিদ্যালয়ে উপস্থিত সমাজের বিভিন্ন স্তরের,  বিভিন্ন মানসিকাতার,বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন পরিবেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের একই শ্রেণিতে একই শিক্ষিক দিয়ে সমতার ভিত্তিতে পাঠদান নিশ্চিত করা।একটু খোলাসা করে বললে এরকমটি হয়:

   “একীভূত শিক্ষা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক শিশুর চাহিদা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী শিখন ও জ্ঞান অর্জনের প্রতিবন্ধকতা সীমিত ও দুরীকরণের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। একীভূত শিক্ষা হচ্ছে একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ধর্ম-বণর্, ধনী-গরীব, ছেলে-মেয়ে, প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী সহ সকল শিশুকে একই শিক্ষক দ্বারা, একই পরিবেশে এক সাথে মানসম্পন্ন শিক্ষাদান করা হয় । একীভূত শিক্ষা হলো দৃষ্টি ভঙ্গি, মুল্যবোধ এবং বিশ্বাস। একীভূত করণ একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিখন এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের চাহিদাগুলোকে সামাজিক সাংস্কৃতিক অংশগ্রহন এর মাধ্যমে পরিপূর্ন করা হয় এবং শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া কমানো হয় একীভূত শিক্ষা প্রত্যেক শিশুর শিক্ষায় সাম্যতা ও অধিকার নিশ্চিত করে। সমাজের দীর্ঘদিনের বৈষম্যপূর্ণ কাঠামো ভেঙ্গে ফেলে। এই শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীসহ প্রান্তিক শিশু ও সাধারণ শিশু একসাথে অধ্যায়ন করে। ফলে পরস্পর সম্পর্কে জ্ঞান ও শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করতে পারে, যা একটি বৈষম্যহীন ও একীভূত সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণের ভিত্তি।

“inclusiveeducationinbangladesh”

তাত্ত্বিকভাবে সঠিক কথা এবং ধারণাই ট্রেনিংএ প্রদান করা হচ্ছে।কিন্তু এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীকে যখন দেশের শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানানো হয় তখন শিক্ষার্থী নিজেই বিদ্যমান বৈষম্য আর অনিয়ম সম্পর্কে জেনে যায়।যেমন,দশম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে GOOD CITIZEN হওয়ার জন্য কতিপয় বিষয় জানার উপর জোর দেয়া হয়।সেখানে দেশের Educational systems and Educational structure সম্পর্কে জানার বিষয়টি উল্লেখ আছে।এগুলো জানলে শিক্ষার্থী সহজেই বুঝে যাবে যে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে লালিত বৈষম্যের শিকার।বাকি কাথা থাকুক।

৬.শিক্ষকদের আচরণে বৈষম্য :

 শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রাইভেট টিউশনির লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় আসেন।তারা নৈতিকতাকে বিসর্জন দেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায্য আচরণ করেন।অনেক শিক্ষক প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের নাম্বার প্রদানে পক্ষপাতিত্ব করেন।এটা স্পষ্ট বৈষম্যের উদাহরণ। 

৭.শিক্ষায় অপ্রতুল বরাদ্ধ:

বাজেটে শিক্ষাখাতে অপ্রতুল বরাদ্ধ শিক্ষায় বৈষম্য সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।শিক্ষাখাতে প্রচুর বরাদ্ধ দেয়া হয় এবং এর ব্যাপক অংশ উন্নয়ন খাতে যায়।যারা পঠনপাঠনে যুক্ত থাকেন তাদের জীবনমান সম্মানজনক পর্যায়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না। 

৮.বৈষম্য বিলুপ্তির সম্ভাবনা:জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠতে হলে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপকে মূল্য দিতে হবে।তিনি শিক্ষাকে জাতি গঠনের প্রধান নিয়ামক হিসেবে দেখেছেন এবং এজন্য তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সূচনা লগ্নেই যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন।তিনি শিক্ষাখাতে জাতীয় আয়ের কত অংশ বরাদ্ধ দিয়েছেন তা কারো অজানা নয়।আমরা মনে করি,শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হলে শিক্ষায় বরাদ্ধ যৌক্তিক করা উচিত।আশাকরি সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধি করবে।সাথে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনও নিশ্চিত করবে।

গোলাম কিবরিয়া

লেখক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here