ডি কে সৈকতঃ চিকিৎসকরা গতকাল থেকে ডা. আবদুর রকিব খান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই করোনাকালীন সময়েও রাজপথে অান্দলনে নেমেছে। ডা. আবদুর রকিব খান খুলনা রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ছিলেন। গতকাল ১৭ জুন দুপুরবেলা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার উদ্যোগে নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে ডা. মিলন চত্বরে হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিপিএইচসিডিওএ এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক- চিকিৎসক সংগঠন বিপিএমপিএ’র খুলনা জেলার সকল নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করেন এবং তীব্রতর নিন্দা প্রকাশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা নেতৃবৃন্দ এই জগন্য হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও অবিলম্বে হত্যার সহিত জড়িত সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের তীব্র দাবী জানায়। ডা. আবদুর রকিব খান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক সর্বমোট ১০ জনকে আসামী করে খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। থানা কর্তৃপক্ষ এ হত্যার ঘটনায় আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। জানা গিয়েছে রোগীর নিকট আত্মীয়দের হামলায় ডা. আবদুর রকিব খান গুরুতর আহত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. রকিব বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। খুলনায় অবস্থিত রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর নিকট আত্মীয়রা ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সোমবার রাতে ডা. রকিব খানকে প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতন করে, যার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল এই জগন্য নির্মম হত্যাকান্ডের বিক্ষোভ সমাবেশে বিচারের দাবীতে বক্তৃতা করেন বিএমএ’র খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যাক্ষ ডা. গাজী মিজানুর রহমান। উক্ত সমাবেশে বক্তরা দৃঢ় কন্ঠে বলেন- ‘গরীবের ডাক্তার’ হিসাবে খুলনাবাসীর কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিলেন ডা. আবদুর রকিব খান। তিনি গরীব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ এবং নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতেন, অথচ সেই গরীবের ডাক্তার খ্যাত চিকিৎসক ডা. রকিবকে রোগীর স্বজনরা নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেললো! তাই চিকিৎসক সমাজ এই জগন্য নির্মম হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবী জানায়, যাতে ভবিষ্যতে ডা. রকিবের মতো আর কাউকে এভাবে জীবন দিতে না হয়।