ডি কে সৈকত : যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ কোভিড-১৯ নতুন ভ্যাকসিনের পরিক্ষা শুরু করেছে। ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ দ্বিতীয় টিকাটি স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রয়োগ শুরু করেছে। প্রথম টিকাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মানবশরীরে প্রয়োগ করেছিল। বিবিসি গতকাল ২৫ জুন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৩০০ জনের শরীরে এ টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। ইতিমধ্যে এই টিকা পশুর শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হলে তা নিরাপদ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর বলে যথেষ্ট প্রমাণিত। সমস্ত বিশ্বে কমপক্ষে ১২০টি দল পৃথক পৃথকভাবে কোভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবনের ব্যাপারে দিনরাত কঠোর গবেষণা করছে। অপরদিকে বিবিসি বিজ্ঞান বিভাগ আর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই গবেষণা বেশিরভাগ আসলে গবেষণাগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর যেসব দল কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করতে অনেকটা অগ্রগতি দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রফেসর রবিন শ্যাটক ও তার সহকর্মীরা। তারা এই টিকা প্রথম প্রয়োগ করেন ৩৯ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাথির শরীরে। ক্যাথি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। কোভিড-১৯ মহামারী যুদ্ধে সামিল হতে তিনি এই টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ক্যাথি বলেন, “আমি আসলে বুঝতে পেরেছি যে, কোভিড-১৯ টিকা অাবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মানুষের জীবন স্বাভাবিক হবে না। সেই উপলব্ধি থেকেই এ অগ্রসরমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছি।” ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন দলটি বলেছেন, ট্রায়াল শেষ হলে আগামী অক্টোবর মাসে ছয় হাজার মানুষের উপর এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। গবেষক দল আশা করছেন আগামী ২০২১ সালের প্রথমেই যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সমর্থ হবেন।