শামসুল আরেফিন খান
সত্য যেটা তা পুরোপুরি সত্য হতে হবে। অর্ধেক সত্য বলে গ্রহনযোগ্য কোন কথা নেই। ‘আংশিক সত্য যে কথা’ তাও সত্য না্ । যা সুন্দর তাতে এক তিল অসুন্দরের মিশ্রণ ঘটলে তা আর সুন্দর থাকে না। যা কিছু নির্ভেজাল সত্য তাই সুন্দর । তাই ঈশ্বর। “সত্যম শিবম সুন্দরম”। যা বাইরে সুন্দর আর ভিতরটা কুৎসিত তার নাম মাকাল ফল। দূর থেকে যেটা আলো মনে হয় আর কাছে গেলে তা উষরে মিলিয়ে যায় তার নাম মরিচীকা। সেটা কোন আলোর প্রদীপনা।বাল্মকী অসত্যের দাসত্ব ভেঙে বেরিয়ে এলেন। মিথ্যার আধিপত্য থেকে নিষ্ক্রান্ত হলেন । পাপ ও পূন্যের তারতম্য বুঝলেন । দেবতা আর অসুরের পার্থক্য জানলেন। বেদব্যাস বললেন এক চিলতে মিথ্যা উচ্চারণও পাপ । আর পাপ যত সামান্য আর তুচ্ছই হোক না কেন, পাপের প্রাশ্চিত্য করতেই হবে। তাই নবীন বীর অভিমন্যুর প্রাণ রক্ষায় এক চিলতে মিথ্যা বলার জন্যে মহাভারতের ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকেও “সশরীরে স্বর্গে যাওয়ার আগে এক বিন্দু নরক দর্শণ করতে হ’ল”। এই সব সত্য মিথ্যার লড়াই , ন্যায় অন্যায় এবং পাপ পূন্যের লড়াই আর দেবাসুরের যুদ্ধ চলছে সৃষ্টির আদি কাল থেকে। লোভে পাপ । পাপে মৃত্যু। লোভ পাপের জন্ম দেয় ।পাপ মৃত্যু ডেকে আনে।পূন্য ও সত্যাচার যে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু দেয় না তা কিন্তু নয়। সত্য প্রতিষ্ঠা করতে মিথ্যার বিরুদ্ধে অনাপোষ লড়াই করে যীষু লোকান্তরিত হলেন। সূর্য স্থিতিবান ও অনঢ়। পৃথিবীই নিরন্তর নিরবধি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে সৃষ্টিকে বাচিয়ে রেখেছে। এই শ্বাশ্বত সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও কোপারনিকাস ও লিওনার্দো দ্রূণকে প্রান বিসর্জন দিতে হ’ল নির্মম নির্যাতনে। ঐশি কেতাব ও ধর্মীয় বানীর মধ্যে নিহিত অসত্যের বিরুদ্ধে জ্ঞান ঋদ্ধ মানুষের এসকল সংগ্রাম অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সফল হয়েছে।১৯৬১ সালের কথা। আমি সিটি ল’ কলেজে পড়ি। জুরিসপ্রুডেন্স ক্লাসে আমি কখনও অনুপস্থিত থাকিনি। কারণ ওই ক্লাসটা নিতেন ব্যারিস্টার কে এম সুবাহান। পুথিগত বিদ্যার বাইরে যেয়ে ইতিহাস ও দর্শণের অঙ্গনে অলিন্দে বিচরণ করতেন তিনি। একদিন কৗ একটা প্রশ্নের উত্তরে আমি যা বললাম তাতে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। পাল্টা প্রশ্ন করলেন, আর ইউ শিওর। আমি যা বললাম তাতে আমি নিশ্চিত কিনা সেটাই জানতে চাইলেন। সাধারণত: সবার শেষে এসে পিছনের বেঞ্চে বসাই ছিল আমার জন্যে নৈমিত্যিক ব্যাপার । অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সেদিনও তাই হ’ল্ । আমি যে ইচ্ছে করেই নিয়ম লঙ্ঘন করি তা কিন্তু না। পরিস্থিতিও অনেকটা বাধ্য করে। দৈনিক সংবাদে চাকরি করি। স্টাফ রিপোর্টার । সেই সঙ্গে বাড়তি কাজ কোর্ট রিপোর্টার। শিক্ষকরা জানতেন আমার এসব ব্যস্ততার কথা।ঢাকাসিটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ড. আলীম আল রাজী আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্লাসে অনুপস্থিতির জন্যে কথিত পারসেন্টেজের অভাবে আমাকে আটকানো হবেনা। সাংবাদিক বলে কথা। একমাত্র বিচারপতি কেএম সুবহানই ছিলেন ব্যতক্রম। তিনি বলতেন , ‘আইনের ছাত্রের বেআইনী কাজ আমি সমর্থন করি না’।স্যার আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। তিনি জানতেন আমি তাঁর সমদর্শী। মতাদর্শে সম সমাজে বিশ্বাসী । সেদিন আমি ধরা খেলাম পিছন দরজা দিয়ে ক্লাসে ঢুকে। লাগাতার প্রশ্নবানে বিদ্ধ হলাম।আদিকাল থেকে সমাজ সভ্যতার বিকাশের ধারায় ভুসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠা নিয়ে তাঁর ক্লাসে আলোচনা হয়ে আসছিল বেশ কিছুদিন থেকে। ধর্মের বাতাবরণে নারীর স্বাধীনতা হরণ ও নির্যাতন , দুর্বলের উপর সবলের শোষণ নিপীড়ন প্রভৃতি বিষয়ে এর আগে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে। সেদিন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের হেরেমে ও অন্তঃপুরে নারীর বন্দী দশা নিয়ে কথা উঠলো। কি একটা প্রশ্নের উত্তরে আমি যা বললাম তাতে স্যার একমত হলেননা। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। “আর ইউ সিওর?”। আমি বললাম, “অলমোস্ট সিওর স্যার”। আবারও আমার উত্তর নাকচ করে দিলেন। স্যার বললেন “অলমোস্ট সিওর কথার কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। হয় তুমি সিওর হবে নতুবা “নট সিওর” হবে।তোমাকে দৃঢ়চিত্ত হতে হবে। নির্দ্বিধায় দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে হবে তুমি কী চাও আর কী চাওনা। ন্যায় প্রতিষ্ঠায় , অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে জয় পেতে দৃঢ়চিত্ত হওয়ার কোন বিকল্প নেই্ । নারীর সমান অধিকারের জন্যে দৃঢ়চিত্ত হয়ে লড়াই করেছিলেন মার্কিণ রমনী সুসান বি এনথনী। ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা ভোটাধিকার পেয়েছিল ১৯২০ সালে। কালো মানুষের নাগরিক অধিকার আদায় করতে সংশয়হীন চিত্ত্বে সবল লড়াই করলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার। নির্দ্বিধায় প্রাণ দিলেন । নীতিগতভাবে বর্ণবাদের অবসান হ’ল তাতে ।সাম্প্রতিক কালে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে দ্ব্যার্থহীন লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন কর্ণাটকের মুক্ত চিন্তার সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ। বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনের সামনে তার বুকে পরপর তিনটে গুলি বিঁধে দেয় আতোতায়িরা। তার আগে প্রাণ দিয়েছেন দাভোলকর ও পানসারে । এরা কেউ সরকার পরিবর্তন ঘটাবার মত গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক ছিলেন না।পক্ষান্তরে খুনিদের মধ্যেও দৃঢ়তা লক্ষ্য করা যায়। তারা একই কায়দায় বাইকে করে এসে স্থির লক্ষ্যে একই পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে বিভিন্ন সময় এই হত্যাকান্ডগুলি ঘটায়।দৃঢ় মনোবল ছাড়া অশুভ ও অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-লড়াই জেতা যায়না। সর্বকালে সকল দেশে তার দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। রামনবমীর শোভাযাত্রার নামে তান্ডবে নিহত হয়েছে ১৬ বছরের একটি ছেলে ।তার বাবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসানসোলের একটি মসজিদের ইমাম। ছেলের এই করুণ মৃত্যুর পরও শান্তির পথে অবিচল ছিলেন সেই বাবা। প্রকাশ্য সমাবেশে মাওলানা ইমদাদুল রশিদি বলেছিলেন যদি কেউ এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে তবে তিনি শহর ছেড়ে চলে যাবেন। তাঁর এই দৃঢ়তার কারণেই বহু মানুষ রক্ষা পেয়েছিল একটি ভয়াবহ দাঙ্গা থেকে।সত্য সুন্দরের নিরন্তর সাধক বিচারপতি কাজী মেহবুব সোবহান ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানবতাদী মানীষী। তিনি ভাষা আন্দোলন , স্বাধীনতা সংগ্রাম , মুক্তিযুদ্ধ , গণতন্ত্র রক্তস্নাত ৭২ এর সংবিধান,ধর্মনিরপেক্ষতা , বাঙালি জাতীযতাবাদ, ও প্রগতির পক্ষ্যে ক্লান্তিহীন সংগঠক ছিলেন । বিচারপতি কে এম সোবহান নামেই তিনি সমধিক পরিচিত।১৯২৪ সালের ২৫ জুলাই পিতার কর্মস্থল ফরিদপুর জেলায় জন্ম। আদি বাড়ি পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার কৈথন গ্রামে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে ১৯৫২ সালে বিলাতের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় ফিরে আইন পেশায় যোগ দেন। উত্তর কালে এক প্রর্যায়ে বিচারপতি নিযুক্ত হন। পূর্ব জার্মানি ও চেকোশ্লোবাকিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ।সাংগঠনিকভাবে তিনি ভূটান রিফিউজি তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক পিলস তদন্ত কমিশনের সদস্যএবং কম্বোডিয়া ও নেপালের সংবিধান প্রণয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিটিসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ছিলেন। কম্বোডিয়ায় মানবাধিকার কমিশনের অধীনে আইন ও বিচার বিষয়ক কোঅর্ডিনেটারের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫-৯৭ সাল পর্যন্ত।তনি ছিলেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের অন্যতম নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতীত নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। মেম্বার করেছিলেন বাসন্তী গুহ ঠাকুরতা এমপি মমতাজ বেগম আর ডক্টর নীলিমা ইব্রাহিমকে।৩ নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্বন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ ক্যাপটেন মনসুর আলী এবং এইচ এম কামরুজ্জামানের হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য ৬ নভেম্বার বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠিত হয়। বিচারপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরি, বিচারপতি কেএম সোবহান ও বিচারপতি মোহাম্মদ ছিলেন সে কমিটির সদস্য্। জিয়াউর রহমান সর্বময় ক্ষমতা হরণ করে সেই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। অন্যদিকে জেলহত্যার তদন্ত প্রতিবেদনটিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে যায়।প্রেসিডেন্ট হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ বিদেশ থেকে দেশে ডেকে এনে বিচারপতি কেএম সোবহানকে সামরিক আইনদ্বারা বরখাস্ত করেন্।২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনশেষে দেশের ৪৩ জেলায় আহমেদিয়া সম্প্রদায় ও হিন্দু জনগোষ্ঠী হিংস্র নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়্ । এ সময় বিচারপতি সোবহান বয়সের ভার উপেক্ষা করে রাজপথে প্রতিবাদী আয়োজনে উপস্থিত থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করাকে তিনি বড় অপরাধ মনে করতেন। । “অন্যায যে করে অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে”। কবি গুরুর এই অমিয় বানী তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতেন। অন্যায়ের নীরব দর্শককে তিনি সহযোগী অপরাধী মনে করতেন। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ২ দিন ব্যাপী সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্মেলন। তিনি সেখানে কঠোর ভাষায় জোট সরকারের নির্যাতন- নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান।১৯ জানুয়ারি ১৯৯২ তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাাল নির্মূল কমিটি গঠিত হ’ল। ২৬ মার্চ কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে সোহরওেয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের সুনির্দিষট ১০ মানবতাবিরেোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করলো যে গণআদালত বিচারপতি কেএম সোবহান ছিলেন তার অন্যতম বিচারক। ২৬ মার্চ ১৯৯৩ যুদ্ধাপরাধীদেরঅপরাধ অনুসন্ধানে গঠিত ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন কাজী সোবহান।যেখানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ সেখানেই সোচ্চার বিচারপতি কে এম সোবহান। সকল ন্যায়ের সংগ্রামে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল যুদ্ধে সারথি আজীবন সংগ্রামী কে এম সোবহান।‘শিতিকন্ঠ’ ছদ্মনামে কলাম লিখেছেন প্রায় ১৫ বছর জাতীয় নানা সংবাদ মাধমে।এক সয় তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ -সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।চির জাগ্রত বিবেক নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমার শ্রদ্ধেয় আইন গুরু বিচারপতি কে এম সোবহান স্বৈরাচার, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ছিলেন আপোষহীন। নারী স্বাধীনতা ও নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন নারী অধিকারের পথ প্রদর্শক। ‘জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছিলেন নারীদের মৌলিক বিষয় বিবাহ, তালাক ও উত্তরাধিকার আইনের যদি কোন সংশোধন না হয় তবে যতই নারী সমধিকারের কথা বলা হোক না কেন ধর্মের যুপকাষ্ঠে নারীকে চিরদিন বলিদান দিতে হবে। তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন ধর্মীয় পারিবারিক আইন নারীদের পদনমিত ও কোণ ঠাসা করে রাখার জন্য একটি শানিত অস্ত্র। আর অষ্টপ্রহর এই অস্ত্র নারীর উপর ঝুলছে তা সে মুসলিম হোক, বা হোক হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্ঠান’। ৩১ ডিসেম্বর সত্য ও ন্যায়ের চিরন্তন সাধক মনীষীতূল্য এই মহান বিচারপতির প্রয়ান দিবস। তাঁর পূন্য স্মৃতির আধারে রাখছি সাশ্রু শ্রদ্ধার্ঘ।
লেখক: কলাম লেখক