।।খোরশেদ আলম বিপ্লব।। ফজরের নামাজ শেষে একটু শুয়ে আছি বিছানায়। হঠাৎ কানে ভেসে আসছে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির ডাক, খাঁচায় থাকা কবুতর গুলো ও ডাকছে কি মধুর লাগছে, কতদিন পর মনোযোগ দিয়ে ভোরের পাখির ডাক গুলো শুনছি। সত্যি মনোমুগ্ধকর, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। দরজা খুলে বাইরে এলাম, ঘরের পাশে যে পুকুরে গোসল করে ছোটবেলার প্রাইমারি স্কুলের সময়টুকু কেটেছিল, সে পুকুর আজ আর নেই । বছর তিনেক হলো বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি আর কানে কাকের কা কা শব্দ ভেসে আসছে । একটু সামনে সরু রাস্তা, তার পাশে সবুজ ধানক্ষেত, ধান গাছের পাতাগুলো শেষ রাতের কুয়াশা ভেজা অবস্থায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে ভোরের আলো চারিদিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে আর ঐ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছের পাতাগুলো কুয়াশায় ভিজে নতজানু হয়ে নীরবতা পালন করছে। বালু ভরাট খোলা জায়গায় অনেক গুলো রাজহাঁস ও বুনোহাঁস দৌড়াদৌড়ি করছে। একটু সামনে ধান ক্ষেতের ভেতর ছোট্ট একটি বাঁশের খুঁটি তার উপড়ে বসে আছে একটি কালো পাখি এদিক সেদিক তাকাচ্ছে আর লেজ নাড়ছে । এছাড়া দু’চোখ যতদূর দেখা যায় শুধু সবুজ ধান ক্ষেত আর গাছ- গাছালি, তার মাঝে অগনিত পাখির কলকাকলি সত্যিই অসাধারণ লাগছে। হারিয়ে যাওয়া শৈশবের সেই মধুর স্মৃতি শিকড়ের টান আর মায়াজাল মনে করিয়ে দিচ্ছে ছেলেবেলার প্রতিটা মুহূর্ত । গ্রামের বাড়ি এসে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করলাম। মন প্রচন্ড ব্যাকুল ঘুরে বেড়াতে কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতা, গণসচেতনতা আর করোনা রোধে একাত্মতা সব মিলিয়ে এই যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রাণপণ চেষ্টা অন্তত আমাদের সবাইকে করতেই হবে, তাই ঘরে থাকা।
তিনদিন পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতিটি বাড়িতে গণ সচেতনতামূলক আলোচনা করেছি কিছু ছোট ভাই আর এলাকার যুবক ছেলেদের নিয়ে । দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতামূলক ক্যাম্পিংও করেছি। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ মনোযোগ দিয়ে শুনছে,পালন ও করছে । আর কিছু মানুষের আচরণে মনে হচ্ছে করোনা কোন মেলার আসরের নাম সেখানে গিয়ে দেখতে হবে । কেউ কেউ ভাবে গ্রামে করোনা’র আবির্ভাব কোনোকালেই হবে না। অনেক বলার পরও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিবেকের তাড়নায় বুঝিয়ে বলেছি বহুবার কিন্তু একটু পরে যেই রীতি সেই কাজ, কে শোনে কার কথা। কারো কারো বাড়িতে আবার দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসছে, অতিথি আর যাদের বাড়িতে আসছে তাদের আনন্দ আর আচরণে মনে হয় এদেশে করোনা বলে কিছু নেই । আর ওটা কি দেখতেই বা কেমন ? এমন কৌতুহলী ভাব নিয়ে কিছু মানুষ যেন পারলে গিয়ে করোনা কে দেখে আসবে। পাশাপাশি কিছু লোক খুব ভালোভাবে মানছে এবং অন্যকে সজাগ করার চেষ্টাও করছেন। মসজিদগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম, ছোট-বড় সবাই জামায়াতে অংশ নিচ্ছেন। কতিপয় মানুষ যারা শহরের কর্মসংস্থান বন্ধের ফলে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন তারাও যাচ্ছেন । ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন এর যে নিয়ম পালন করার কথা তা আবার কে পালন করবে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ানো, রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা,সন্ধ্যার পর কয়েকজন মিলে রাস্তায় বসে অন্ধকারের সময় কাটানো সবকিছু দিব্যি চলছে।
সেদিন বিকেলে ঘুম থেকে উঠে আসর নামাজ পড়ে বাড়ির উঠানে দাড়াতেই হঠাৎ কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হল । অনেকদিন পর কুশল বিনিময় শেষে মসজিদের পাশ ঘেষা মেঘনা-ধনাগোদা নদীর পাড়ে তিনজন দূরত্ব বজায় রেখে বসলাম। অনেক কথা, বর্তমান পরিস্থিতি, সবার মানসিক অবস্থা শেয়ার করেছি। হঠাৎ মনে হল, এই সেই নদী যেখানে প্রতিদিন লঞ্চ ও নৌকাযোগে কত মানুষ আসা-যাওয়া করতো । ছোটবেলায় কত ঢেউয়ের খেলা দেখতাম, পালতোলা নৌকা এবং মাঝে মাঝে বড় বড় মালবাহী নৌকা গুণ টেনে টেনে মাঝি-মাল্লারা ক্লান্ত হয়ে গান গাইতো আর আমরা তীরে বসে বসে তা দেখতাম। প্রবল স্রোতের মাঝে লঞ্চগুলো উল্টোদিকে যখন যেত তখন ঢেউয়ের দোলায় কচুরিপানা গুলো তীর পর্যন্ত চলে আসত । মাঝে মাঝে নদীতে নেমে কত মজা করেছি, সাঁতার কেটেছি স্মৃতিপটে সেসব দিনের কথা ভেসে উঠল। সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই দিনগুলো। আজ দৃশ্যপটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এই নদীতে লঞ্চ চলেনা, নৌকাও নেই । তেমন স্রোত ও নেই, দেখলে মনে হবে নদীটি মরে গেছে । নদীর দুই পাড়ে আগের মত তরমুজ বাঙ্গির ক্ষেত এখন আর চোখে পড়ে না। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অতীত হারিয়ে যেতে বসেছে। সন্ধ্যা হতেই মাগরিবের আজান, তিন বন্ধু উঠে পড়লাম। কিছুটা সময় বাল্যস্মৃতি রোমন্হন করে ভালই কাটলো।
এখন প্রতিদিন টিভির খবর আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর আলোচিত বিষয় একটাই, করোনা। দিন যাচ্ছে আর মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে, সত্যি বড্ড ভয় হয় পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা ভেবে। “জন্মিলে মৃত্যু অবধারিত” সে কথা ভুলে যাইনি কিন্তু এমন পরিস্থিতি কেউ দেখতে চাই না যা শুনছি আর কিছুটা দেখছি। দিন দিন মানুষ নির্দয় আর পাষাণ হয়ে যাচ্ছে, করোনা’র নাম শুনলেই পালিয়ে বেড়াতে চাচ্ছে। সকাল ১১টা বাজে় শুয়ে আছি, হঠাৎ পাশের বাড়ির এক ভাতিজা এসে বলল- কাকা রাস্তায় একজন মহিলা পড়ে আছে মনে হয় মারা গেছে তার পাশে ছোট্ট একটা শিশু কান্না করছে কিন্তু কেউ ভয়ে মহিলাটির কাছে যাচ্ছে না।আমি বললাম ঠিক আছে তুমি যাও কাউকে দিয়ে বাচ্চাটিকে ছায়াতে নিয়ে আসো আমি আসছি। সাথে সাথে মৃত্যুর কথাটি মনে করে ভাবলাম ব্যাপারটি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো উচিত তাই গ্রামের মেম্বার খোকন ভাইকে ফোন করে জানালাম। খোকন ভাই দেরি না করে মোটরসাইকেলে রওনা হল ১০ মিনিট পর তিনি জানালো পুলিশের সহযোগিতায় মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলাটিকে পাঠানো হয়েছে সাথে বাচ্চাটিকেও কিন্তু মারা গেছে কিনা শিওর না। ছোট্ট এক থেকে দেড় বছরের বাচ্চার সাথে আমার আর দেখা হল না কিন্তু একটু এগিয়ে গিয়ে যা শুনলাম তা সত্যি শিউরে উঠার মতো। মহিলাটি হঠাৎ নাকি হাঁটা অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আর বাচ্চাটি পাশে বসে কান্না শুরু করছে কিন্তু একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা লোক গুলো দেখছে,কেউ যাচ্ছে না তার কাছে । সবার ধারণা মহিলার করোনা হয়েছে । কী ভয়ানক আতঙ্ক মানবতাকেও হার মানাচ্ছে । সব শুনে চোখে জল এসে গেল। সেখান থেকে বাড়ি ফিরতেই খোকন ভাইয়ের ফোন মহিলাটি মারা গেছে। তারপর আর কিছুই জানা হয়নি আর কোন কালে হয়তো জানাও হবেনা । কী হবে ছোট্ট শিশুটির ভবিষ্যৎ! কে দেবে মায়ের মমতা! নির্বাক হয়ে কিছুক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে ঘরে বসে রইলাম হঠাৎ চাচির ডাকে ঘোর কেটে গেল। জবাব দিলাম মহিলাটি আর নেই।
সকাল থেকে রাত অব্দি বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের খোঁজ নেওয়া,কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে সবকিছু শেয়ার করা এভাবেই চলছে দিন রাত্রির সময় যাপন। ২০ বছর পর বাড়িতে একসাথে এতগুলো দিন কাটাচ্ছি। কিছু মানুষের গ্রাম্য পলিটিক্স দেখছি কিছু মানুষের রাজনৈতিক প্রভাব দেখছি । একদল তেলবাজদের তেল দেয়াও দেখছি, যে যেভাবে পারছে, সম্মান শ্রদ্ধা স্নেহ মমতা ভালবাসা তাদের কাছে ফিকে হয়ে গেছে। প্রতিদিনের ত্রাণের নামে ফটোসেশনে নেতাদের তেলেসমাতি ও দেখছি, কিছু জিজ্ঞাসাতেই উত্তর আসে- ভাই “কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন হয়” । রাত্রি যত গভীর হয় দুশ্চিন্তাটা ততই বেড়ে যায়, মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কথা বলা এভাবেই চলছে । একদিকে অধিকাংশ ডাক্তাররা নিধিরাম যুদ্ধ করছেন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের সারিয়ে তোলার জন্য আর অন্যদিকে কিছু কিছু হাসপাতালে অন্যান্য রোগেরও চিকিৎসা হচ্ছে না। যে হাসপাতালগুলোতে রাত দুটো অবধি সিরিয়াল দিয়ে রোগী দেখতো সে সকল ডাক্তার নাকি এখন এক মাসের ছুটিতে গেছেন সত্যি আমরা কত দূর্ভাগা জাতি। রাত ১১ কার খবর দেখছি সাথে মনি চাচা। সারা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি মনোযোগ সহকারে শুনছিলাম হঠাৎ শুরু হলো অন্য একটা সংবাদ। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল ও তেল চোরের সংবাদ প্রতিবেদন। মনি চাচা দুঃখ প্রকাশ করে বলতে শুরু করলেন- কি অদ্ভুত আমরা এদেশের মানুষগুলো কতটা নির্মম পাষণ্ড আর বর্বর হলে ত্রাণের সামগ্রী কুক্ষিগত করতে পারি! স্থানীয় প্রশাসন কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে । কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হল তারা কি সর্বেসর্বা? না ? অন্তরালে মূল হোতারা চিরদিন ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়, বড়জোর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর একটাই- “কর্তার ইচ্ছে কীর্তন হয়” আমরা তো স্যার শুধু ডুগডুগি বাজাই। মনি চাচা কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে আবারো বললেন আমরা শুধু দর্শক, জানি পরের দিন টিভির পর্দায় দেখব এদেশের কতিপয় মহামান্য ভোকাল বলেছেন দুস্কৃতিকারীরা যে দলেরই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না । এসব তৈলমর্দন আর এ ধরনের হীন কাজের মদদ দাতাদের এদেশে কোন কিছুই হয়না আর কখনো হবেও না । শুধু ভাগ্যবঞ্চিতদের হাহাকার আর বেদনাহত কান্নার সুর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে এতে আকাশ ভারী হওয়া ছাড়া আর কিছুই হয় না। মনি চাচার কথাগুলো শুনে কিছুটা স্তব্ধ হয়ে গেলাম। চরম সত্য বিষযগুলো় অনর্গল গরগর কর বলে গেল। কিন্তু কিছু করার নেই, অনেক সময় ইচ্ছে সত্ত্বেও কিছু করার থাকেনা তবুও প্রার্থনা তো করা যায় ? নিশ্চয়ই তিনি সব দেখেন, সব শোনেন এবং তিনি হয়তো গন্তব্যের সঠিক রাস্তা দেখাবেন।
আজ অনেকটা দেরি করে বিছানায় যাওয়া । চারদিকে যে পরিস্থিতি জানিনা কী হবে, আর কখন ই বা এই উৎকণ্ঠার পরিসমাপ্তি ঘটবে। কবে এক আলোকবার্তা আসবে, নতুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চারদিকে প্রকৃতি মাথা উঁচু করে পরিশ্রান্ত পথিক কে ছায়া দেবে । আর ক্লান্ত পথিক নেবে প্রাণ ভরে উৎকণ্ঠা বিহীন স্বস্তির নিঃশ্বাস। মনে পড়ে না কখনো বা কোন রাতে বউ কথা কও পাখির ডাক শুনেছি কিনা । কিন্তু ! এখন ঘড়িতে সময় ভোর ৩.১৫ মিনিট। কি অদ্ভুত ভাবে বউ কথা কও পাখি ডাকছে তার সাথে সুর মিলাচ্ছে খাঁচায় থাকা এক ঝাক কবুতর । আহা কি মধুর লাগছে অনেক বছর পর মন দিয়ে প্রকৃতি আর পাখির ডাক গুলো শুনছি। কোকিলের কুহু ডাকও কানে ভেসে এলো, মনে হলো প্রকৃতির সমস্ত লীলা আর কর্মযজ্ঞ মনে হয় আমার বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত চলে এসেছে । আমার বিশ্বাস ভালোবাসা আর প্রার্থনায় খুব সহসাই করোনা’য় আতঙ্কিত মানুষগুলো সব ভয় আর জন্ঞালকে ঝেড়ে ফেলে স্রষ্টার অপার সৃষ্টি গুলো উপভোগ করবে। বন্ধ ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে খোলা আঙিনায় এসে মুক্ত বাতাস গায়ে জড়াবে । ছোট ছোট ঘরবন্দি নিষ্পাপ শিশু গুলো আকাশের নিচে প্রাণখুলে গাইবে “আমরা করব জয়” অন্যদিকে জনমানবহীন নিস্প্রান শহর গুলো হয়ে উঠবে জনাকীর্ণ আর অসংখ্য গাড়ির জানযটে রাস্তাঘাটগুলো ফিরে পাবে সেই চেনা চেহারা। আর ছোট্ট নিহাল শিকড়ের টানে বারবার ফিরে আসবে রূপসী বাংলার সবুজ ঘেরা এই গ্রামে। কখনো ভরদুপুর, কখনো বা রাতে শুনবে কোকিলের ডাক আর বউ কথা কও পাখির ডাকে প্রতি উত্তর দেবে প্রাণ খুলে ।গাছগাছালির সুনিবিড় আলিঙ্গন আর মমতায় পারিবারিক আত্মীয়তার বন্ধনে আনন্দের জোয়ারে উচ্ছ্বসিত হয়ে অট্টহাসিতে ভরে ওঠবে পুরো বাড়ি । নিমিষেই সব আতঙ্ক আর বন্দিদশা আজন্ম পালিয়ে যাবে অন্ধকার শ্মশানে । আর ছোট্ট শিশুটি নিদ্রাদেবীর চরণে ততক্ষণে ঠাঁই নেবে একটি নতুন ভীতি ও করোনা বিহীন আলোকোজ্জ্বল ভোরের প্রত্যাশায়।
উপলব্ধির জায়গা থেকে।
খোরশেদ আলম বিপ্লব।
সাহিত্য সম্পাদক, বিজয় প্রতিদিন
১৮, এপ্রিল ২০২০খ্রি.