করোনাভাইরাস: যে প্রক্রিয়ায় লকডাউন শিথিল করলো ভারত

0
790

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাইরাস মহামারিতে সংক্রমণ রোধ শনিবার সন্ধ্যায় ভারতে যে লকডাউন চলছে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে, তার পঞ্চম পর্যায় শুরুর ঘোষণা করা হয়েছে

এই পর্যায়টিকে অবশ্য বলা হচ্ছে ‘আনলক – ১’, কারণ কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে বহু পরিষেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াতের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, কীভাবে সওয়া দু`মাস লকডাউনের পরে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে এগোনো হবে।

যেসব এলাকা সংক্রমণের জন্য ঘিরে দেওয়া হয়েছে, সেখানে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কিছুই সেখানে খোলা থাকবে না।

‘আনলক’ করার প্রথম পর্যায় শুরু হবে ৮ই জুন থেকে।

সেদিন থেকে ধর্মীয় স্থান, হোটেল, রেস্তোঁরা, বিপনীবিতান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রাত্রিকালীন কার্ফূয়ের সময়ও কমিয়ে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে, জুলাই মাসে ভাবনা চিন্তা করা হবে কবে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে।

আর তৃতীয় দফায় খতিয়ে দেখা হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, মেট্রো রেল, সিনেমা হল, ধর্মীয় বা সামাজিক- রাজনৈতিক জমায়েত করতে দেওয়া হবে কী না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ইন্ডিয়ান পাবলিক হেল্থ এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ বলছিলেন, “মহামারি রোধ করতে লকডাউনের উদ্দেশ্য হল কিছুটা সময় কেনা, যাতে এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়।

“দেশের যা জনসংখ্যা, তার পাঁচ শতাংশও যদি সংক্রমিত হন, তাদের তো হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করতে হবে। সেই ব্যবস্থা তো দেশে নেই। লকডাউনের সময়ে সেটাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তো আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতেই হবে।”

ডা. ঘোষ বলছিলেন, “লকডাউন কোনও দীর্ঘকালীন ব্যবস্থা হতে পারে না। জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে মহামারি রুখতে পরামর্শ দুটো – আরও বেশী সংখ্যায় পরীক্ষা করো, সংক্রমিত এলাকাকে ঘিরে রাখো, কাশির সময়ে সচেতন থাক আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখো। আমাদের এই ভাইরাস নিয়ে থাকতে হবে, আবার স্বাভাবিক অবস্থায়ও ফিরতে হবে। এগুলোই আমাদের ‘নিউ-নর্ম্যাল’।”

তথ্যসূত্র:বিবিসি বাংলা, কলকাতা, ৩০ মে. ২০২০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here