নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২২ শে জুন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের খালিশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম বজলুর রশিদ চৌধুরী, মাতা মাহফুজা খাতুন। তিনি ১৯৪২ সালে নোয়াখালী আহম্মদিয়া হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজ থেকে আই. এ. ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বি. এ অনার্স এবং ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনের প্রথম পর্যায়ে তিনি ১৯৪৯-৫০ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রভাসক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৭১ সালে ‘রীডার’ পদে উন্নীত হন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সাহিত্য জীবনে তিনি বহু ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ এবং গবেষণামূলক রচনা লিখেন। গবেষণার বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমী তাঁকে পুরস্কার প্রদান করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার (১৩৬৮ বাংলা), রবি পরিক্রমা (১৯৬৩), রঙিন আখর (১৩৭০ বাংলা), কলোকোয়াল বেঙ্গলী (১৯৬৩), সাহিত্যের নব রূপায়ণ (১৩৭৬ বাং) ভাষা ও সংষ্কৃতি সমীক্ষা বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর শান্তিবাগের ছোট ভাইয়ের বাসা হতে আলবদর ঘাতক বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁর লাশ পাওয়া যায় নি। তাঁর আত্মদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২. ০০ টাকা মূল্যের বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
জীবনী