কবি মাহাবুবা লাকি
হাসপাতালের ল্যাব পরীক্ষার খামটা
বহুরূপী অসুখে মহা চালাক,
প্যাথলজি রুমের সামনে দাঁড়ালে
দেখা যায় মানুষের হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে রিপোর্ট খাম
যেন শীষ দিতে দিতে পিকনিকে যাবার মতো।
যেদিকে তাকাই প্রচণ্ড ভয়ে শরীর কাঁপে
চোখ দিয়ে ঝরে নোনা জল!
অথচ ওই রিপোর্ট খামে কত শত প্রশ্নবোধক চিহ্ন!
এই কি শেষ দেখা সবুজ শ্যামলিমা,
কাছের দূরের সবার সাথে কি আর কথা হবে?
খামটি ডাক্তারের হাতে দিতে কেঁপে ওঠে মন!
না জানি ওই খামের ভেতর লুকিয়ে আছে
কত রোগ, শোক,দুক্ষ,আহাজারি।
হয়তো যন্ত্রণার জীবাণুগুলি মুখোমুখি বসে
কাতরাচ্ছে বেঁচে থাকার ক্ষিণ আশায়,
তবু ও মন সব ভুলে যেনো শেষবারের মতো
সুখটানে বিড়ি খেয়ে খক-খক করে কাশে!
সব থেকে দামী যে জীবন তাকে বর্জ্য ভেবে।
আশাহত এইসব হতাশার রিপোর্ট খাম
আপন-জনদের কুরে -কুরে খায়!
কখন যেন——কি খবর,
নির্লিপ্ত বাতাসে ভেসে অন্ধকার নামে।
জীবন নিভে যায় একসময়, কিন্তু—
এইসব খামগুলি রয়ে যায় ভেজা চোখে,
রিপোর্টের নামগুলি কখনোই মরে না
মৃত্যুর মিছিল দেখে কিছুক্ষণ —
শুধু মরার ভান করে থাকে।