ত্রিপুরা, ভারত থেকে
কবি টিংকুরঞ্জন দাস
নিস্প্রভ শহরে ভোরের একমুঠো ফ্যাকাশে রোদে
জানলার শিকে উদাসীন দৃষ্টি
নিরস ঠোঁটের কোনে শব্দের স্থবিরতায়
ব্যর্থ রঙতুলিতে ছিন্নভিন্ন স্বপ্ন
নিঃসঙ্গতা ছুঁয়ে যায় ভিজে চোখের পাতায়।
কোন এক বাউন্ডুলে বসন্ত রাতে
দুটি হাত এক করে এসেছিল নির্ভরতা
সেই থেকে প্রতিটি সকাল, প্রতিটি বিকাল
এক অদৃশ্য সম্পর্কের গভীর বাঁধনে
একসাথে পথ হাঁটা, খুনসুঁটিতে মেতে থাকা
কখনও বা কপট অভিমানের স্কেলে
মেপে নিতো ভালবাসার ক্ষেত্রফল
চাওয়া-পাওয়ার খাতায় জীবনের নিটফল
মেঘের সমুদ্রে ভেসে যায় দূর-বহুদূর।
ভাঙা খেলাঘরে ঝরে পড়ে জীবনের সংলাপ
এক সাগর শূণ্যতা বুকে ক্লান্ত পথিক
ফসিল জীবন নিয়ে বেঁচে অাছে অস্থির উত্তাপে
বিব্রত সিক্ত দেহখানি ঘোর অন্ধকার গিরিখাতে
শব্দের ঘুমন্ত শরীরে নিঃশব্দে তারই অপেক্ষায়।