কবি উম্মে কুলসুম মুন্নি
ঐ যে দুরের আকাশ নীরব সাক্ষী হয়ে আছে কত নির্ঘুম রাতের,
অন্ধকার আকাশে অসংখ্য নক্ষত্রের হাতছানি,
বাগান থেকে ভেসে আসা হাসনু হেনার সৌরভ,
মৃদুমন্দ বাতাসে নারকেল গাছের পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ,
দুর থেকে ভেসে আসা নৈশপ্রহরীর ডাক,”জাগো,জাগো ”
রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা লাইটপোস্টের ছায়া যেন খুজছে নিজের প্রতিবিম্ব ।
বারান্দায় একাকী বসে আনমনে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো,
সুনসান নীরবতার মাঝে হৃৎস্পন্দনের আওয়াজ শোনা যায়,
সময়ের সাথে চেহারায় এসেছে মলিনতার ছাপ,
জীবনের রঙিন সময়গুলো কিছু বোঝার
আগেই কখন যে রঙ হারিয়েছে কেউ জানে না,
সেলফে রাখা পুরনো এলবামে ছবি গুলো ধুলোয় ঢেকে আছে,
আর মনে করিয়ে দিচ্ছে যা চলে গেছে
তাকে নিয়ে ভেবে আর লাভ কি,
তাকে তো ফিরানো যাবে না, চুলে পাক ধরেছে,,
চশমাটা হয়েছে নিত্যসঙ্গী ওটা ছাড়া যেন অচল,
তবু কেন জানি মাঝে মাঝে হৃদয় গহীনে ঝড় উঠে,
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মতো অতীতের
স্মৃতি গুলো আছড়ে পড়ে মনের কিনারে,
বালুকাবেলায় অবহেলা অনাদরে বেড়ে উঠা
লতা গুল্মের মতো ডাল পালা মেলে সাধ ছিল ছুতে স্বপ্নচূড়া,
গাংচিলের ডানায় ভর করে পাড়ি দিতে সাত সমুদ্র তের নদী,
ঝিনুক থেকে মুক্তা আনার ইচ্ছেটা যেন আজও মনে দোলা দেয়,
ফানুস উড়ানোর ছলে নীলাকাশ ছুয়ে দেখা,
কৃষ্ণচুড়ার লালে ভালোবাসার গল্প লেখা,
কত না স্বপ্নের মায়াজালে আচ্ছন্নতা,
সব কিছুই হয়ে গেছে সুদূর পরাহত এক মরীচিকা,
কিন্ত জীবন ঘড়ির কাটাটা কিন্তু থেমে থাকে নি
কালের স্রোতে একটু একটু করে
স্বপ্নময় ভাবনাগুলো খেই হারিয়ে ফেলেছে,
অতঃপর পরে আছে একাকী শূন্যতার মাঝে ,,,,