আজম পাটোয়ারী
চারদিকে হাহাকার ক্ষুধাতুর মানুষের, কাজ নেই…ভাত নেই পথেতে গাড়ি নেই… ঘরেতে সুখ নেই। জীবনের হিসাবটা এলোমেলো নিদারুন, বিশ্ব নেতারা কই গেল আজ জানি। বুলি আছে তুলি নাই রং খেলার ছলনায় কাদে বুক চাপড়ে পথ শিশু দাপড়ে। হারামজাদা ভাত দে নইলে কাজ দে, কারখানা চাকা তো আজ কেন ঘুরে না, শ্রমিকের পাওনা কেউ শোধ করে না। আশ্বাসের মহাবানী শুনি কেবল প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ফিসফাস চিৎকারে। আর কত এভাবে সইব নিরবে, দু’চোখের জল তো এখন আর ঝড়ে না। প্লাবনের বন্যা বাড়ি থেকে সরে না, ভাসে সব ভেসে যায় ফসলের মাঠ গুলো দেখবে কে আর? কে আছে দেখার? বুলি ছাড়ে বসে তারা ঐ লালা ইটের দালানে। বুজে না কি? বুজে তারা? এই ইট কার রক্ত ঘামে পোড়া। শক্ত এই হাত দু’টি করে শুধু নিসপিস মারবরে মরব আজ ভেঙ্গে ঐ সব কিছু মাটির গহিনে মিশাবো রঙ্গ সভ্যতাটুকু।চারদিকে হাহাকার সোল্লাসে মহাকাল নাঙ্গা হাতে তলোয়ার, সব করি হুসিয়ার। পেটেতে ভাত নেই দিন শেষে কাজ নেই, ভাত দে কাজ দে নইলে সব ভেঙ্গে দে। রাজপথ রাজগদ একাকার করে দে, করোনার করুনা সাজানো ছলনা। সব কিছু বাদ দে নতুনের ডাক দে, পুজিবাদী মানি না শ্লোগানে সানিয়া হুংকারা ধমকার চুপ করে দে আজ। ভাত দে ভাত দে কাজ দে কাজ দে চারদিকে হাহাকার মানুষের কান্নার।