কবি উম্মে কুলসুম মুন্নি
জীবনটা কেমন যেন অর্থহীন হয়ে উঠছে,
নেই কোন সুখ আনন্দের বিলাসীতা,
কি পেয়েছি আর কি পাইনি তার হিসাব
মিলানোর কোন দায় নেই ।
থাকবেই বা কেন,
যা আমার নয় কখনো,
তা পাওয়া না পাওয়ার
ভাবনা তো বাতুলতা মাত্র ।
এক জীবনে কতটা কষ্ট পেয়েছি মনে করতেও
যেন মন সায় দেয় না ।
কতটা অশ্রু ঝরেছে নিজের অগোচরে
তা তো কেউ কখনো জানে নি ।
হৃদয়ের একাকিত্ব আর নির্জনতা কে
ভুলে থাকতে কতই না বাহানা বানাতে হয় ।
ভালো নেই, তবু্ও প্রতিনিয়ত নিজের
সাথে মিথ্যা ভালো থাকার অভিনয় ।
ভালোবাসা কাকে বলে জানি নি কখনো,
সেই প্রথম তুমি এসেছিলে মেঘের
আড়াল থেকে একফালি রোদ হয়ে,
জ্বালিয়ে ছিলে মোর হৃদয় মন্দিরে মঙ্গল প্রদীপ ।
হাত ছুয়ে সংকল্প করেছিলে পাশে রবে আজীবন ।
তাই তো তোমার ভাবনায়
ভাসিয়েছি কত অজানা স্বপ্ন ভেলা ।
নিজের সত্বাকে ভুলে গেছি তোমার
সাগরসম দুচোখের মায়ার খেলায় ।
সারা অস্তিত্ব জুড়ে ছিল তোমার বাধাহীন অবগাহন,
হাজার জনমের ডুব সাঁতারের
বাসনায় ছিলো কত না আয়োজন ।
সবই যেন আজ দুঃস্বপ্ন,
চোখের জলের দামে ও হবে না পূরন ।
আজকাল তোমার প্রতি রাগ,
অভিযোগ করতে ইচ্ছে করে না,
নিজের অভিলাষী মনের দূরন্তপনাকে
আর হৃদয়ের কম্পন বাড়িয়ে
দেয়া যন্ত্রণা গুলো কে প্রশ্রয় দিতে ভয় হয় ।
নির্ঘুম রাতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্নাকে সাক্ষী
রেখে তোমাকে ভাবতে সেই কবে ভুলে গেছি ।
বিশ্বাস কর,
যেদিন তুমি আমার অভিমান গুলো কে
অভিযোগ মনে করা ছেড়ে দিবে,
সেদিন এক বৃষ্টি র বিকেলে
আমি এলো চুলে নীল শাড়ি পরে
তোমার হাতে হাত রেখে
সেই প্রথম ভালোবাসা র
ছোয়া নিয়ে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজব ।
সব স্বপ্ন হয়তোবা সত্যি হয় না,
সে শুধু বাড়ায় দায়বদ্ধতা,
তবু ও মনের কিনারে অভিমানী
স্বপ্নেরা উকি দিয়ে যায়,
যদি আসো ফিরে কোন এক বর্ষায় ??