শেখ হোসনা
দুর্বাক্য কেনো?
প্রয়োগে লহো– অন্যের মন্দতে।
যাচাই করিয়া দেখেছো কি তাহা?
চন্দ্র সূর্য রুপে- হইয়াছে কি তাহার বেলাতে?
যাচাই হবে না তাহা নক্ষত্র বেশ-
নিজেকে গড়ে পর্বত সম,
সময় অনুসারে- হয়েও টিলা সে।
চন্দ্র সূর্যে গ্রহণ লাগে বলি-
তাহা কি আর হয় না?
দুগ্ধরুপি? এ বেলায় যাবে না,
সে পথ ধরা।
মনুষ্য মূল ধর্ম ইহাই যে।
অন্যের বেলায় বলবেই দুর্বাক্য সে।
প্রবল ঝড়ে বট বৃক্ষের পত্র পল্লব
আর ডাল পালা নড়াচড়া করে অস্থিরে!
আর প্রবল বর্ষণে স্থির সব।
এতেই কি, বুঝে নিলে?
বট বৃক্ষের চঞ্চলতা হ্রাস পেয়েছে
বলে যাহা শুনিয়াছো,
তাহাই চন্দ্র সূর্য সম যে।
দুর্ভাগ্য মনুষ্য জাতির যে,
নিজেরো বেলায় হলে বলি মাঘ মাসি সরিৎ সলিল,
আমার বাছা।
হঠাৎ কাল বৈশাখী এসে পরেছে উড়ি,
আমারো ডিঙিতে জাহাজের মাস্তুল ভাঙ্গি।
শুনিতে বড়ো হাস্য লাগে!
কাল বৈশাখী ভাঙ্গিলো মাস্তুল-
ডুবিলো না তোমার ডিঙি?
এ ও শুনি হজম করিতে হইলো আজি
এ মনুষ্য মূল ধর্ম বলি!