ডি কে সৈকত : কোভিড-১৯ মহামারীতে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে মানুষের চোখের জল শুকিয়ে গেছে, মুক্তি চায় সমগ্র বিশ্ববাসী। মানবপ্রেমিক মানুষের আজ বেদনার্ত। তবুও এই মহাবিপর্যয়ের মধ্যেও কিছু মানুষ মানবতার জন্য চরম হুমকি স্বরুপ, তারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। এ রকম অবিবেচক, দেশ ও মানুষের শত্রু কিছু মানুষ এবং স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ে মুখ খুলেছেন নোয়াখালী-০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্য খাতের নানাবিধ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরী দৃঢ়তার সহিত অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কিটের অভাবে আজকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী এই তিন জেলায় করোনা পরীক্ষা বন্ধ, যার কারণে মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। দু-তিনদিন আগে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আজগুবি বিভাগ বলেছিলাম। কিন্তু এটা আজগুবি নয়, এটা মহা আজগুবি বিভাগ। আমাকে একজন বললেন, আজকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি বলেছেন কিটের অভাব। কিন্তু জানা মতে, বাংলাদেশে তিন-চারটা কোম্পানী প্রায় ১০ লক্ষ কিট এনে রেখেছে। তারা দিতে পারে না ‘মিঠু সিন্ডিকেটে’ কারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মিঠু সিন্ডিকেট’ যতক্ষণ পর্যন্ত ভাঙা না যাবে, ততক্ষণ এই মন্ত্রণালয় কখনো ভালো থাকবে না।” এমপি মহোদয় আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো তিন দিনে যেভাবে ক্যাসিনোকে ধ্বংস করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন, স্বাস্থ্যসেবার একজন কর্মী ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে অনুরোধ করবো আপনি এই সিন্ডিকেটটা সেভাবে ভাঙার ব্যবস্থা করুন। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দেশের মানুষ অনেক সুফল পাবে। এই মিঠু গংরা গোটা স্বাস্থ্য খাতকে কাবু করে রেখেছেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রাণের স্পন্দন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আমার মাথার মুকুট আওয়ামীলীগসহ প্রতিটি সংগঠন থেকে নেতা কর্মী নিয়ে নেয়াখালীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনাবিরোধী সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। প্রয়োজনে বিরোধী দলের কেউ যদি আসতে চায় তাদের কমিটিতে নিন। যে বাড়ীতে করোনা আক্রান্ত সেই বাড়ীতে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টানিয়ে দিন। নোয়াখালীর সবার প্রতি আমার এই নির্দেশনা থাকল। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগেরর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আপনাদের সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোলার নির্দেশ দিচ্ছি। আপনারা মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ধারন করে দাঁড়িয়ে যান, আপনার জন্য এলাকার মানুষ সেবা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় অনুরোধ করবো ঐ সিন্ডিকেট ভাঙার। ঐ সিন্ডিকেট না ভাঙা পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাত থেকে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে না। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখতেন এবং যে স্বপ্ন আপনি দেখেন, এই সিন্ডিকেট ভাঙলে তা পূরণ হবে।” এমপি মহোদয়ের এই জ্বালাময়ী বক্তব্য সকল মহলে প্রশংসিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে ও ভাইরাল হয়।