শহীদ বুদ্ধিজীবী এ. এন. এম মুনীর চৌধুরী

জীবনী

0
1189

বিশিষ্ট লেখক, দেশ বরেণ্য নাট্যকার, শহীদ বুদ্ধিজীবী এ.এন.এম মুনীর চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিধর ভাস্কর এবং রূপ দক্ষ কারুকার। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ শে নভেম্বর ঢাকা জিলার মানিকগঞ্জে পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জিলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী (ডিপটি) এবং মাতা আফিয়া খাতুন।
অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৩ সালে আলীগড় মুসলীম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই.এস. সি, ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে বি.এ অনার্স এবং ১৯৪৭ সালে এম. এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি প্রথমে জগন্নাথ কলেজে এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে অধ্যাপনার দায়িত্বে যোগদান করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকায় যান এবং সেখানকার হার্ভাড ইউনিভারসিটি থেকে ১৯৫৮ সালে ভাষাতত্তে¡ এম. এ ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষকতা জীবনে তিনি ইংরেজী ও বাংলা সাহিত্যের জন্য বিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৬২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে “রিডার” পদে অধিষ্ঠিত করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন লেখক ও নাট্যকার হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলা সহিত্যে তাঁর বহু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। নাটক “রক্তাক্ত প্রান্তর” (১৯৬২), চিঠি (১৯৬৬), দণ্ড কারণ্য (১৯৫৬), পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য (১৯৬৯), অনুবাদ নাটকঃ কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৭), রূপার কোটা (১৯৬৯), মুখরা রমণী বমীকরণ (১৯৭০)। প্রবন্ধ গ্রন্থ ঃ ড্রাইডেন ও ডি এল রায় (১৯৬৩), মীর মানস ১৯৬৫, তুলনামূলক সমালোচনা (১৯৬৯), বাংলা গদ্যরীতি (১৯৭০) অন্যতম। তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৬৫ দাউদ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছিলেন বাংলা মুদ্রাক্ষর লিপির উদ্ভাবক। বাংলা একাডেমী এ টাইফ রাইটারের নামকরণ করেছেন, মুনীর অপটিমা।
১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুনীর চৌধুরীকে ঘাতক বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং তিনি তাদের হাতে নিহত হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here