অস্তমিত লগ্নের আগে ও পর

কবিতা

0
945

কবি আজহারুল কবির নিলয়

শেষ কবে যে দিনের

ব্যস্ত সিডিউল শেষ করে

রাত্রিতে স্বপন মামার দোকানে
একসাথে চায়ের আড্ডায়

মেতেছি

তা ঠিক মনে পড়ছে না।

শেষ কবে যে মিছিলে আর

স্লোগানে

মধুর ক্যান্টিনে জয় বাংলার

ঝড় তুলেছি

তাও আজ মনের আবছা

অগোচরে।


কত যে প্রেমিক পুরুষ

মধ্য দুপুরে রৌদ্র তাপে

প্রেয়সীর ওড়না কিংবা

শাড়ীর আচলে,

আলতো ছোঁয়াতে ললাটের

ক্লান্তির ঘাম

মুছে দেওয়ার ভালোবাসা

কত্ত যে মিস করছে

তা পরিমাপের কোনো মেশিন

যে

আদৌ আবিষ্কৃত হয়নি

ধরিত্রীর এই বুকে।

করোনার এক থাবায় যখন

পুরো বিশ্ব অচল প্রায়

তখন রহমতের বৃষ্টিতে আশা

জাগে মনে।

করোনার কোনো এক ক্লান্ত

বিকেলে

অস্তমিত লগ্নে

যাব আবার ফিরে

সন্ধ্যাকালীন সোডিয়াম

বাতির আলোতে

কথা,গল্প আর চায়ের কাপে

আড্ডা জমাতে।

আবার ব্যস্ততম দিনে

কর্ম ব্যস্ততার ভিড়ে

ক্লাসে কিংবা টি.এস.সি-র

সবুজ চাদরে

মাতিয়ে তুলব

সুর-বেসুরা কণ্ঠে

কাওয়ালী, লালনগীতি আর

পিনিক ধরা যত গানের

তালে তালে।

আবারও জয়-বাংলা স্লোগানে

মুখরিত করব

রাজনীতির আতুঁড় ঘর থেকে

প্রতিটি কোণে।

আবারো প্রেমিক পুরুষগণ

প্রেয়সীর প্রিয় লাল গোলাপ

আর

অর্কিড হাতে অপেক্ষা করবে

সবুজ চত্ত্বর কিংবা টি.এস.সি-র

প্রাঙ্গনে

প্রেয়সীর ঠোঁটের কোণে

এক চিলতে হাসি ফোঁটাবে

বলে।

আবারও আজানের ধ্বনি

শুনে

সকল আড্ডা, সলাগল্প রেখে

ছুঁটবে সবাই দলে দলে

কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে

সালাত আদায় করতে

আশা রাখি মনে

হলের সবুজে ঘেরা ছয় তলার

উপর থেকে

ভোরের স্বস্তির লাল টকটকে

সূর্য

আবার দেখবো দুই নয়ন

ভরে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here