কবি শেখ শাহারিয়ার কবির
৭ই মার্চ তুমি গগন বিদারী কম্পমান আকাশের
প্রতিধ্বনি
নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালীর আজীবন
লালিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনন সুঁই।
৭ই মার্চ তুমি সৃজিলে হাজার বছরের
শ্রেষ্ঠ প্রতিঘাত প্রতিবাদী অনাদেয় সুর।
৭ই মার্চ তুমি বিশ্ব কাঁপানো অতুলনীয়
ডায়রীর পাতা কিংবা পঞ্জিকাবর্ষ হুর।
আলো ছড়িয়েছ পিরীত ক্লিষ্ট
আর্ত-মানবতার বর্ষিত, ধর্ষিত ইতিহাসের সুর।
৭ই মার্চ তুমি বছর ঘুরে আসো,
জাতির পিতার উড্ডীয়মান তর্জনিনির্দেশ
আজও বলে দেয়,
তর সোনার বাংলার স্বপ্নের মশাল
আমি হতে পারি নি কো দন্ডায়মান
কি করে দিব বল হে পিতা
সে মাশুল।
৭ই মার্চ নইকো কখনই একদিনের
মত করে একটি দিন,
এ দিনেই কবি গেয়ে গেছেন গান
ঐতিহাসিক সে গান, মুক্তির গান।
ডেকেছেন অনাধিকাল পরাধীনতার
শৃঙ্খলে ১৬ কোটি প্রাণে বইয়ে দিতে
স্বাধীনতার অমিয় ধারার বান।
আজও আমি সে দ্রোহবাণী শুনি
৭ই মার্চ তুমি আমার প্রাণের স্পর্ধা
মাথা নত না করা, আমার মুক্তি
স্বাধ, অভিলাসের ফাল্গুন ধারা।
আমি সিক্ত আযৌবন শক্রর তরে
কবির সাবধান বাণী উচ্চারণ।
তুমি শুনেছিলে, কোটি প্রাণের ক্রন্দিত
রাষ্ট্র যন্ত্রে পিষ্ট বঞ্চিত কুহকের দ্রোহ।
বাঙালী চাতক নহে, চেয়ে দেখে না
হুংকার তুলে, মাথায় তেজদীপ্ত মুকুট
স্বগৌরবে আলো ছড়াবে ৭ই মার্চ
কবি তাই শুনালেন মুক্তিকামী শত কোটি
আর্তনাদের সুর।
হে, পিতা,
সোনার ছেলে, হতে পারিনি
তোমার স্বপ্ন ঠিকই পুষেছি বুকে।
অত্যাচারের স্টীম এখনও চলছে
শুধু তোমায় ধারণ করি নি বলে।
তোমার পথের সৈনিক হতে চাই
বাংলাকে আবার কাঁপিয়ে দিব যে তাই।
তোমার তেজোদীপ্ত ৭ মার্চে আমি বারবার ফিরে যাই।