কবি শাহীন চৌধুরী ডলি
কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন, বলেই খালাস
আবর্জনাময় পুঁতিগন্ধে করতে হয় বাস
ঘুপচি ঘরে গাদাগাদি দশ-বারোজনার আবাস
বস্তিবাসী বঞ্চিত রই বিশুদ্ধ বাতাস।
মায়ের শাড়ি মেয়ে পড়ি, বাবার লুঙ্গি ছেলে
একপাতেই সবে খাই মরিচ পোড়া দিয়ে
জড়াজড়ি, গলাগলি, চাটাইয়ে দেই রাত্রি পাড়ি
কোয়ারেন্টাইনের ধার কেমনে ধারি?
জানাই শোনেন, করোনার চেয়ে বড় রোগ ক্ষুধা
তিন মিটার দূরত্ব প্রহসনের বোঝা
তুলে ধরলাম নিদারুণ সত্যের ধ্বজা
হাভাতের কাছে কোয়ারেন্টাইন সাজা।
বিশ্বটা শুন্য হচ্ছে মানুষ হয়ে লাশ
ভূ-প্রকৃতি নিচ্ছে বুঝি নতুন দিকে বাঁক
ক্ষুধার সাধ্য নেই বুঝে লকডাউনের ভাষা
গরিব মানবে কোয়ারেন্টাইন! ব্যাপক দুরাশা।