কবি মাহবুবা লাকী
ঈশ্বর হয়তো পাখিদের কান্না শুনেছেন!
তিনি হয়তো ডলফিনের আর্তনাদ দেখেছেন,
কবুল করেছেন সবুজ বনের প্রার্থনা ও।
ঈশ্বর নীরবে শুনেছেন পাহাড়ের কান্না
যৌক্তিক ভেবেছেন তাদের টিকে থাকার দাবীগুলো ,
তারা হয়তো বাঁচতে চেয়ে কেঁদেছিল!
মাটিকাটা মেশিন দেখে হাহাকার করে
শেকড়গুলো আঁকড়ে ধরে রাতের পর রাত।
অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি মিনতি করেছিল বাচ্চাকে বাঁচাতে ;
তার নিরবতা, তার যন্ত্রণা শুধু ঘৃণা রেখে গেলো
মানুষদের সে আর বিশ্বাসই করল না,
ঈশ্বর করুন চোখে এটা ও দেখেছেন।
ভেজাল আর দূষিত ধোঁয়ায় আক্রান্ত ফুসফুসের
করুন নিঃশ্বাস ও দেখেছেন তিনি।
হিংসা বিদ্বেষ ক্ষমতার লড়াইয়ে মানুষ
কিভাবে পরিনত হয়েছে বহুরূপী পিশাচে,
ঈশ্বর বিস্ময়ভরা চোখে এটা ও দেখেছেন।
ঘৃণ্য পাপের বোঝা এত বেড়ে গেল যে,
ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড় জলোচ্ছ্বাস দিয়ে ও
থামানো যাচ্ছিল না কোন জাতিকে।
তাই——
পৃথিবীকে থামানোর জন্য ছেড়ে দিলেন করোনাকে,
এটাই যদি না হবে—-
তাহলে বিনা যুদ্ধে মানুষ কেন গৃহবন্দী?
হঠাৎ করে আকাশ কেন হবে অন্ধকার?
কোথায় হারাল মুখোরিত দূরন্ত কোলাহল!
হে মানব;
তিনি তো আমাদের একার ঈশ্বর নন!
সৃষ্টিকুলের সবকিছুর অধিপতি তিনি।
তাহলে আর কত আর্তনাদ শুনবেন?
আর কত সহ্য করবেন অত্যাচার?
করোনার মত অনূজীব সৃষ্টি করে বোঝালেন,
কিছুটা সময় এখনো আছে, তোমরা থামতে পার।